পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী মোস্তফা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মোস্তফা কামাল খান ও তার স্ত্রী হাওয়া নুর আক্তারের নামে দুই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিবাদীদের বাড়ী চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সিঙ্গারা গ্রামে।

দুদকের উপ সহকারি পরিচালক সঞ্চয় ঘোষাল বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরে রোববার (২৩ জুন) মামলা দায়ের করেন।

সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো:মাসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: মোস্তফা কামাল খান ও তার স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সোমবার (২৪ জুন) দুদক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।অভিযোগকারির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রথম মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, মোস্তফা কামালকে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি নিজ নামে ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

দ্বিতীয় মামলায় স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে বিবাদী করা হয়েছে। যেখানে হাওয়া নুর আক্তারের নামে ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৩৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৮০২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদক থেকে পাসপোর্টের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: মোস্তফা কামাল খান ও তার স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তারের কাছে সম্পদ বিবরণী জানতে চাওয়া হয়। সম্পদ বিবরণী পূরণ করে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী নিজ স্বাক্ষরে তারা জমা দেন।

মামলায় সূত্রে জানা গেছে,চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সিঙ্গারা গ্রামের মো: মোস্তফা কামাল খান দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিন লক্ষ পঁচাশি হাজার চারশত তিরানব্বই এবং পয়সা পয়ত্রিশ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং উনপঞ্চাশ লক্ষ চৌত্রিশ হাজার দুইশত একাত্তর এবং পয়সা পয়ত্রিশ টাকার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, মো: মোস্তফা কামাল খান ও তার স্ত্রী হাওয়ানুর আক্তার পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে বত্রিশ লক্ষ চব্বিশ হাজার আটশত দুই এবং পয়সা একানব্বই টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং চল্লিশ লক্ষ চৌদ্দ হাজার তিনশত একষট্টি টাকার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি’র ১০৯ ধারা ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

Related posts

Leave a Comment